কেন্দ্রের লভ্যাংশ বাড়ালেও ঝুঁকির সংস্থানে জোর
নিজস্ব প্রতিবেদন
বাজারের প্রত্যাশা ছিল কেন্দ্রের ঘরে লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) হিসেবে ৩-৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা দেবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত হল না। শুক্রবার আরবিআই জানাল, গত অর্থবর্ষের জন্য দেওয়া হচ্ছে ২.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা। তবে তা ২০২৩-২৪ সালের ২.১ লক্ষ কোটির তুলনায় ২৭.৫% বেশি। একাংশের দাবি, এটুকু দিতেই হত। কিন্তু টালমাটাল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চোখ রেখে ঝুঁকি সামলানোর আপৎকালীন ভাঁড়ারেও জোর দিয়েছে আরবিআই। তা ৬.৫০% থেকে বাড়িয়ে করেছে ৭.৫০%।
এই ঝুঁকি সামলানোর ভাঁড়ার বা সিআরবি দিয়ে অতিমারি বা যুদ্ধের মতো আচমকা তৈরি হওয়া সঙ্কট, অনাদায়ি ঋণ, পড়তে থাকা সম্পদের মূল্য-সহ নানা আপৎকালীন পরিস্থিতি
সামলানো হয়। জানানো হয়েছে, আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রের নেতৃত্বে তাদের কেন্দ্রীয় পর্ষদ বৈঠকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা বিচার করে হিসাবের খাতা থেকে উদ্বৃত্ত ২,৬৮,৫৯০.০৭ কোটি কেন্দ্রকে দেওয়ার ও ঝুঁকির তহবিল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একাংশ অবশ্য মনে করাচ্ছে, ২০২৩-২৪ সালের জন্য ২.১ লক্ষ কোটি লভ্যাংশ দেওয়া নিয়ে শোরগোল পড়েছিল। মোদী সরকার শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে হাত দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ বারের লভ্যাংশ আরও বেশি। যদিও এতে সরকারের সুবিধা হবে। রাজকোষ ঘাটতি কমাতে পারবে তারা। বাজেটে বিপুল আয়কর ছাড় দেওয়ায় হওয়া বাড়তি খরচ সামলানো যাবে। সুবিধা হবে পরিকাঠামো খরচে।