সময়ের সমাবর্তন
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির অভিনেতাদের চরিত্ররূপ আনন্দ প্লাস-এর পাতায়
মিলে যাচ্ছে তিনটে সময়কাল। আলাদা আলাদা সময়ের চরিত্রেরা কোথাও গিয়ে পরিস্থিতির নিরিখে এক হয়ে যাচ্ছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় এর আগেও অতীত-বর্তমানের ঘটনাকে নিজস্ব ভঙ্গিতে মিলিয়ে দিয়েছেন। ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’তেও তেমনই একটা প্রচেষ্টা দেখা যাবে। সৃজিত জানালেন, শ্রীচৈতন্যর সময়কাল, নটী বিনোদিনী-গিরিশ ঘোষের অংশ এবং বর্তমান সময়— এটাই তাঁর ছবির টাইমলাইন। ফলে চরিত্রদের লুক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবে। ছবিতে শ্রীচৈতন্যের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে তিন অভিনেতাকে— শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, দিব্যজ্যোতি দত্ত এবং ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। তিন অভিনেতারই চৈতন্যরূপের লুক সেট করা হয়েছে, যা নির্মাতারা ভাগ করে নিলেন আনন্দ প্লাসের সঙ্গে। লুক নির্মাণের নেপথ্যে রয়েছেন মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু এবং পোশাক পরিকল্পনায় রয়েছেন সাবর্ণী দাস।
শ্রীচৈতন্যের চরিত্রে অভিনয় করবেন দিব্যজ্যোতি। এই চরিত্রের জন্য অভিনেতাকে অনেকটা ওজন কমাতে হয়েছে। এখনও সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। চরিত্রের জন্য ন্যাড়াও হবেন। বিষ্ণুপ্রিয়ার চরিত্রে দেখা যাবে ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ আরাত্রিকা মাইতিকে। এর আগে চরিত্রটি দর্শনা বণিকের করার কথা ছিল। ডেটের সমস্যার জন্য তাঁর বদলে আরাত্রিকাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। চৈতন্যের জীবন ও নানা ঘটনা উঠে আসবে ছবিতে।
আর একটি টাইমলাইনে নটী বিনোদিনী এবং গিরিশ ঘোষের সময়কাল দেখানো হবে। মঞ্চে বিনোদিনী দাসীর ‘চৈতন্যলীলা’র অংশ এখানেও উঠে আসবে। বিনোদিনীর চরিত্রে শুভশ্রী। এই ছবির প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। বলছিলেন, “যখনই সময় পাচ্ছি স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসছি। মনের মধ্যে সারাক্ষণ একটা প্রস্তুতি চলছে। পরিচালক বড় চ্যালেঞ্জ দিয়েছে।” ছবির জন্য বেশ কিছু ওয়ার্কশপও করবেন তিনি। বিনোদিনীর চরিত্রে নিজের লুক পছন্দ হয়েছে শুভশ্রীর। ছবিতে অবশ্য তাঁর আরও লুক থাকবে। নাট্যকার গিরিশ ঘোষের চরিত্রে রয়েছেন ব্রাত্য বসু। এই সময়ের আরও চরিত্রদের দেখা যাবে ছবিতে। তবে তার সবটা এখনই ভাঙতে রাজি নন নির্মাতারা। শোনা যাচ্ছে রাজনীতিবিদ পার্থ ভৌমিককে দেখা যাবে একটি বিশেষ চরিত্রে।
বর্তমান সময়ের এক সুপারস্টারের চরিত্রে রয়েছেন ইন্দ্রনীল। এখানে ‘ফিল্ম উইদিন আ ফিল্ম’ রয়েছে। একটি ছবিতে চৈতন্যের ভূমিকায় অভিনয় করবে ইন্দ্রনীলের চরিত্রটি। ইশা সাহা থাকছেন একজন ফিল্ম নির্দেশকের ভূমিকায়। ইন্দ্রনীলের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কে। এই চরিত্রটিতে আগে পার্নো মিত্রর কাজ করার কথা ছিল। ছবির মহরতেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু পরে ডেটের সমস্যা হওয়ায় তাঁর জায়গায় আসেন সুস্মিতা।
সৃজিতের ছবিতে গান বরাবরই বিশেষ গুরুত্ব পায়। এখানেও গানে বড় চমক থাকবে। আবহসঙ্গীত করছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। কবীর সুমনের গানও থাকছে। সুমনের লেখা ও সুরে প্লেব্যাক করেছেন বাসবদত্তা চৌধুরী। শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠেও গান শুনতে পাওয়া যাবে।
‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির প্রযোজনায় যৌথ ভাবে রানা সরকার এবং এসভিএফ। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শুটিং শুরু। কলকাতায় শুটিং হবে, রথযাত্রার সময়ে পুরীতে শুটিং করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাতাদের। ক্যামেরায় থাকছেন সৌমিক হালদার। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা এ বছর ডিসেম্বরে।
চৈতন্যের চরিত্ররূপে— দিব্যজ্যোতি, শুভশ্রী, ইন্দ্রনীল