নিলাম নীতিতেই অপেক্ষা মিটল ১৮ বছরের, বলছেন ফ্লাওয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদন
৪ জুন: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে প্রায় দশ দিন বন্ধ ছিল আইপিএল। সেই বিরতি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ট্রফি জেতার পথে অনুঘটকের কাজ করেছে বলে জানিয়ে দিলেন প্রধান কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার।
কেন? সেই বিরতিতে অধিনায়ক রজত পাটীদার আঙুলের চোট সারিয়ে সেরে ওঠেন। যিনি কয়েকটি ম্যাচ খেলেই ছিটকে গিয়েছিলেন। অন্য দিকে কাঁধের চোট সারিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে দলে যোগ দেন জশ হেজ়লউডও। যিনি ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে আরসিবির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছেন।
সেই প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের ম্যাচের পরে ফ্লাওয়ার বলেন, “সন্ধেয় ট্রফি হাতে উদ্যাপনের সময় আমাকে এক জন এই বিরতির কথা মনে করিয়ে দেন। রজত আঙুলের চোট সারিয়ে দলে যোগ দেয়, আমরা সুস্থ হেজ়লউডকে পাই। ওঁদের অন্তর্ভূক্তি না ঘটলে হয়তো এ বারেও স্বপ্নপূরণ হত না।” যোগ করেন, “আমি দেবদত্ত পাড়িকল এবং টিম ডেভিডের কথাও উল্লেখ করতে চাই। ওঁদের অভাব বোধ করছি। আমাদের দলের ওঁরাও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।”
প্রথম বার অধিনায়ক হয়েই দলকে অধরা মাধুরীর সন্ধান দিয়েছেন রজত পাটীদার। ১৫ ম্যাচে তিনি করেন মোট ৩১২ রান। স্ট্রাইক রেট ১৪৩.৭৭! শুধু ব্যাটসম্যান রজতের নয়, অধিনায়ক রজতেও মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেন, “আরসিবির মতো দলের নেতৃত্বের চাপ সামলানো সহজ নয়। কিন্তু রজত প্রথম বারই খুব সুন্দর ভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেছে। এতে ওঁর ব্যাটিংয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।” শুধু রজতের প্রশংসাই নয়, নিলাম টেবলে তাঁদের বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনাও যে আঠারো বছরের স্বপ্নপূরণ ঘটাতে অনেকটা সাহায্য করেছে তাও জানিয়েছেন ফ্লাওয়ার। ফ্লাওয়ারের কথায়, “নিলামেই আমরা প্রাথমিক কাজটুকু সেরে রেখেছিলাম। প্রথম থেকেই ডিরেক্টর মো বোবাতের দর্শন ছিল, এক জনের পিছনে বেশি টাকা খরচ করলে চলবে না। তার জায়গায় কয়েক জন অনামী ব্যাটসম্যান বা বোলারকে নিতে হবে। সেই সঙ্গে এ বারে নিলামে শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ গড়ে তোলার দিকে নজর দিয়েছিলাম। সেই লক্ষ্যে আমরা
সফল হয়েছি।”
ফ্লাওয়ার আরও জানিয়েছেন, তাঁরা নিলামের প্রথম দিন বড় নামের দিকে যাননি। ফ্লাওয়ারের কথায়, “প্রথম দিনের শেষ আমাদের নিলাম নীতি নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনা মাফিক দ্বিতীয় দিনে ভুবনেশ্বর কুমার, ক্রুণাল পাণ্ড্য, টিম ডেভিড, রোমারিয়ো শেফার্ড-এর মতো ক্রিকেটারকে তুলে নিই।”
তৃপ্ত: ট্রফি নিয়ে উৎসবে শামিল ফ্লাওয়ার ও কার্তিক। পিটিআই