গ্রেফতারে অগ্নিগর্ভ ইম্ফল
হুমকি দেন। ওই পুলিশ পোস্টে ভাঙচুরও চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। দুই পক্ষের ধস্তাধস্তিতে দুই সাংবাদিক-সহ তিন জন আহত হন। পরে সিবিআই জানায়, কেবল কাননই গ্রেফতার হয়েছে। শুধু ইম্ফল নয়, আশপাশের মেইতেই অধ্যুষিত এলাকায়ও শুরু হয় বিক্ষোভ। এর পরেই পাঁচ বা তার বেশি লোকের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মণিপুর পুলিশ।
উল্লেখ্য মণিপুর সংঘর্ষ নিয়ে এনআইএ যে তদন্ত চালাচ্ছে সেখানে আরাম্বাইয়ের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম উভয় জেলায় ঊর্ধ্বতন অফিসারদের নেতৃত্বে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ দিকে কুকি এলাকা, মায়ানমার সীমান্তের মোরেতেও পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে চিংথাম আনন্দ নামে এক পুলিশ অফিসারকে হত্যার অভিযোগে মোরে থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ধৃতদের মধ্যে কামগিনথাং গাংতে কুকি ন্যাশনাল আর্মির ক্যাডার এবং হেনটিংথাঙ কিংপেন ভিলেজ ভলান্টিয়ার্স গ্রুপের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থাটি। তার প্রতিবাদে কুকিরা বিক্ষোভে নেমেছেন। টেংনাওপাল জেলায় বন্ধ ডাকা হয়েছে। এনআইএ শিলচর থেকে ১৯ মে তারিখে ধৃত থাঙমিনলেং মাতেকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। সে এখন গুয়াহাটি সেন্ট্রাল জেলে বন্দি।
স্বরাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, কিছু সমাজবিরোধী জনসাধারণের আবেগকে উস্কে দেওয়ার জন্য ছবি, ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং ঘৃণামূলক ভিডিয়ো বার্তা প্রচারের জন্য ব্যাপকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা মণিপুর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপরে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষ করে ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল, কাকচিং এবং বিষ্ণুপুর জেলায় ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডেটা পরিষেবা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ দিকে, আজ সকালে মণিপুরের কয়েক জন বিধায়ক রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাজভবনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাঁরা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করতে আর্জি জানান। রাজ্যপাল তাঁদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। রাজ্যপাল ভল্লা এ দিন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। ওই বৈঠকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা, ডিজিপি, স্বরাষ্ট্র কমিশনার, রাজ্যপালের সচিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।