সাসপেন্ড হবেন না চিকিৎসক, আশ্বাস
পানজিম, ৮ জুন: ক্যামেরার সামনে প্রবীণ চিকিৎসককে অপমান করে তাঁকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিলেন গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে। তা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে গোয়ার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত জানালেন, চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হবে না।
গত কাল গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রানের মেজাজ হারানোর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। বাম্বোলিম এলাকায় ওই হাসপাতালে হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রানে। তিনি দাবি করেন, এক চিকিৎসক এক জন রোগীর চিকিৎসা করতে চাইছেন না বলে ফোনে তাঁকে জানানো হয়েছেন। পরে দেখা যায়, রানের নিশানায় রয়েছেন প্রবীণ চিকিৎসক রুদ্রেশ কুট্টিকর। তিনিই গোয়া মেডিক্যাল কলেজের চিফ মেডিক্যাল
অফিসার। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে রানে রুদ্রেশকে বলছেন, ‘‘আপনার জিভ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনি এক জন চিকিৎসক। আমি চট করে মেজাজ হারাই না। কিন্তু আপনাকে সঠিক আচরণ করতে হবে। যত চাপই থাক, আপনাকে রোগীদের সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করতে হবে।’’ পরে তাঁকে বলতে দেখা যাচ্ছে, ‘‘অন্য চিফ মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ করুন। আমি ওঁর সাসপেনশনের ফাইলে স্বাক্ষর করব। এখনই ওঁকে সাসপেন্ড করতে হবে। সাধারণত আমি খারাপ ব্যবহার করি না। কিন্তু আমি এটা সহ্য করব না।’’
এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই শুরু হয় প্রবল সমালোচনা। রুদ্রেশের পাশে দাঁড়ায় কংগ্রেসও। সমাজমাধ্যমে তাদের তরফে বলা হয়, ‘‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত, অহঙ্কারী, ভয়ঙ্কর খামখেয়ালি ও স্থিতিশীলতাহীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে রয়েছেন। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যে সব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীকে রানে হুমকি দিয়েছেন তাঁদের সকলের অপমানের জন্য রানেকে জবাবদিহি করতে হবে।’’ কংাগ্রেস আরও জানায়,
‘‘গোয়া সরকার পদক্ষেপ না করলে গোয়ার বাসিন্দাদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন অভিযানের ডাক দেবে কংগ্রেস।’’
সমালোচনার জেরে রানে সমাজমাধ্যমে জানান, অভিযোগ পেয়ে তিনি ওই আচরণ করেছিলেন। ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু তাতেও সমালোচনার ঝড় থামেনি। তাই এ দিন আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। ওই চিকিৎসকের সাসপেন্ড হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আমরা রাজ্যের সব বাসিন্দাকে সর্বোচ্চ স্তরের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের চিকিৎসকদের অনলস প্রয়াস ও অমূল্য পরিষেবার জন্য তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা জীবন রক্ষার কাজ করে চলেছেন।’’
সংবাদ সংস্থা