ইহুদি উপাসনাগৃহে হানা, ম্যাঞ্চেস্টারে হত ২, জখম ৩
ম্যাঞ্চেস্টার, ২ অক্টোবর: নিয়ম মেনেই বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় উপাসনা কেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছিলেন ইহুদিরা। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় সাড়ে ন’টা। হঠাৎই একত্রিত সমাবেশে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। এরপর গাড়ি থেকে নেমে এলোপাথাড়ি ছুরি চালাতে থাকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি। খবর যায় পুলিশে। ততক্ষণে আততায়ীর হানার মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। জখম অন্তত তিন জন। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই আততায়ীর। চিত্রটা ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টারের।
ঘটনাটিকে ইতিমধ্যেই ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ম্যাঞ্চেস্টার পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ম্যাঞ্চেস্টার পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় জখম হয়েছেন মোট পাঁচ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জন আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইহুদি ক্যালেন্ডার অনুসারে বৃহস্পতিবার ছিল বছরের পবিত্রতম দিন। হিব্রু ভাষায় যাকে বলে ‘ইয়োম কিপুর’। এমনই একটি দিনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পরে সারা ইংল্যান্ডে অবস্থিত ইহুদিদের প্রতিটি উপাসনা কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী তথা পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন।
অন্য দিকে, ঘটনার খবর পেয়ে নিজের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি কাটছাঁট করে দ্রুত দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়র স্টার্মার। প্রসঙ্গত, ঘটনার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘পলিটিক্যাল কমিউনিটি’র একটি বিশেষ বৈঠকে যোগ দিতে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরে ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ম্যাঞ্চেস্টারের হামলার খবর পেয়েই যাবতীয় নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে দেশে ফেরার বিমান ধরেন কিয়র। দেশে ফিরেই ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি-র (কোবরা কমিটি) সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন তিনি— জানা গিয়েছে এমনটাই। ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি নিজের এক্স হ্যান্ডলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘ইংল্যান্ডে বসবাসকারী প্রতিটি ইহুদির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তা করা হবে’। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় চার্লসও।
সংবাদ সংস্থা