সন্ত্রাসের মুখে আর নীরব নয় ভারত: প্রধানমন্ত্রী
নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর: সন্ত্রাসের কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে দেশ ‘ভঙ্গুর পাঁচ’ থেকে ‘শীর্ষ পাঁচ’-এ পৌঁছেছে। মূল্যবৃদ্ধি থেকে অতিমারি মোকাবিলা, সব ক্ষেত্রেই সফল ভারতের এখন থেমে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। বিহার বিধানসভা ভোটের আগে এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে আজ এ ভাবেই নিজের জমানার সাফল্যকে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তুলোধোনা করলেন কংগ্রেসকে।
ওই অনুষ্ঠানে একাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিতে মোদী জানান, ১১ বছর আগের (২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে প্রথম মোদী সরকার) পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বর্তমান পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০১৪ সালের আগে আলোচনা হত ভারত কী ভাবে বিশ্বের নানা ঘটনা থেকে তৈরি হওয়া সমস্যার মোকাবিলা করবে, কত দিন ভারতে নীতিপঙ্গুত্ব ও কেলেঙ্কারি চলবে, কত দিন ভারত পাঁচ ভঙ্গুর অর্থনীতির তালিকায় থাকবে, এ সব বিষয় নিয়ে। মহিলাদের সুরক্ষা, জঙ্গিদের স্লিপার সেল ও মূল্যবৃদ্ধি ছিল আলোচনার বিষয়।’’ তাঁর মতে, দেশবাসী ও বিশ্ববাসী ভাবতেন ভারত কখনও এ সব সমস্যার মোকাবিলা করতে পারবেন না। মোদীর কথায়, ‘‘কিন্তু গত ১১ বছরে ভারত সব সমস্যা অতিক্রম করেছে। পাঁচ ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে বিশ্বের পাঁচ শীর্ষ অর্থনীতির তালিকায় উঠে এসেছে। এখন মূল্যবৃদ্ধি ২ শতাংশের কম। আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের চেয়ে বেশি। চিপ থেকে শুরু করে জাহাজ, সর্বত্র আত্মনির্ভর ভারতের চিত্র দেখা যাচ্ছে।’’
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সন্ত্রাসের মুখে ‘নীরব ভারত’-এর যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। দেশ এখন যোগ্য জবাব দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিশ্বে অনিশ্চয়তার মধ্যে ভারতের আর্থিক দৃঢ়তা রয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, অতিমারির পরে যখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশ সংঘাত ও আর্থিক বৃদ্ধির মন্থর গতি নিয়ে ব্যস্ত তখন ভারতের বৃদ্ধি স্থিতিশীল রয়েছে।
মোদীর কথায়, ‘‘এখন ভারত থামবে না। আটকেও যাবে না।’’
প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘কংগ্রেস কখনও নীতির গণতন্ত্রায়নে বিশ্বাস করেনি। কিন্তু আমরা করেছি। সেটাই দুরন্ত গতিতে চলতে থাকা ভারতের শক্তি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা দেশকে অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপের হাত থেকে মুক্ত করেছি। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে করা হয়েছে সংস্কার। ডিজিটাল লেনদেনের ফলে আর্থিক লেনদেনে বিভিন্ন শ্রেণির অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশে পরিণত হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, উল্টো দিকে কংগ্রেস সরকারের সময়ে দেশবাসীর সঙ্গে ব্যাঙ্কের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ব্যাঙ্কে তৈরি হয়েছিল অনুৎপাদক সম্পদের পাহাড়। তাঁর কথায়, ‘‘তখন গরিব মানুষ ব্যাঙ্কে যেতে ভয় পেতেন। অর্ধেক দেশবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। ৫০ কোটি জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলে আমরা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় গণতন্ত্র এনেছি।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘পেট্রল পাম্পে যাতে ভর্তুকি না দিতে হয় সে জন্য কংগ্রেস জমানায় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার কথা ভাবা হয়েছিল। এখন সারা দিন পেট্রল পাম্প খোলা থাকে।’’
সংবাদ সংস্থা