চোক্সী-প্রত্যর্পণে সায় বেলজ়িয়ামের কোর্টের
নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর: ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সীকে ভারতে প্রত্যর্পণে সায় দিল বেলজিয়ামের আদালত। আজ বেলজিয়াম আদালতের ওই ঘোষণায় নিজেদের সাফল্য দেখছেন ভারতীয় তদন্তকারীরা। এ দিন সিবিআই-এর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত। ভারতের আর্জি মেনে মেহুল চোক্সীকে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিয়েছেন বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এ বার প্রত্যর্পণের পথে প্রথম আইনি পদক্ষেপ কী হতে চলেছে তা স্পষ্ট।’’ তবে তিনি জানান, মেহুলের কাছে এই রায়ের বিরুদ্ধে বেলজিয়ামের উচ্চতর আদালতে আবেদনের পথ এখনও খোলা রয়েছে।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল মেহুল চোক্সী ও তাঁর ভাইপো নীরব মোদীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠতেই দু’জনে রাতারাতি দেশ ছেড়ে পালান। নীরব এখন লন্ডনের জেলে বন্দি। প্রত্যর্পণের বিরোধিতায় মামলা লড়ছেন। ভারত ছেড়ে মেহুল প্রথমে ক্যারিবীয় সাগরের অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সরাসরি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকলেও সেখান থেকে তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। এর পর ২০২৩ সালে বেলজ়িয়ামে আশ্রয় নেন মেহুল। তাঁর স্ত্রী বেলজিয়ামের নাগরিক। একটি সূত্রের খবর, ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে বেলজিয়ামে এসেছিলেন মেহুল। সেখানের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টাও করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভারত সরকার বেলজিয়াম প্রশাসনকে সতর্ক করে। মেহুলকে প্রত্যর্পণের আর্জি জানায় ভারত। সেই আর্জি মেনে এপ্রিল মাসে চোক্সীকে গ্রেফতার
করে বেলজিয়াম সরকার। কিন্তু ভারতে বন্দি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মুম্বইয়ে আর্থার রোড জেলে ১২ নম্বর
ব্যারাকে মেহুলকে রাখা হবে। ইউরোপের বন্দি নিরাপত্তা কমিটির নির্দেশিকা মেনে সেই ঘরের ন্যূনতম আকার ২০ ফুট ও ১৫ ফুট রাখা হয়েছে। ওই ঘরে তাঁকে একাই রাখা হতে পারে। পাশাপাশি আলাদা শৌচাগার, বায়ু চলাচল ব্যবস্থা,
রোজ স্নানের সুযোগ, শরীরচর্চার সুবিধা, খেলাধুলোর সুযোগ, নিয়মিত আইনি পরামর্শ, সংবাদমাধ্যম এবং ফোনে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
সংবাদ সংস্থা