নজরদারি ব্যর্থ, মাত্রাছাড়া কলকাতামুখী বিমানভাড়া
নিজস্ব সংবাদদাতা
উৎসব এবং আসন্ন শীতের মরসুমে ব্যস্ত রুটগুলিতে বিমানভাড়া যাতে লাগামছাড়া হারে না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে নজরদারি চালানোর কথা বলেছিল বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সংস্থাগুলিকে বাড়তি উড়ান চালানোর নির্দেশও দিয়েছিল তারা। কিন্তু তার পরেও অভিযোগ উঠল, দীপাবলির আগে মুম্বই, চেন্নাই, দিল্লি, আমদাবাদ, হায়দরাবাদ, জয়পুরের মতো শহর থেকে কলকাতামুখী উড়ানের ভাড়া মাত্রাছাড়া উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। ফলে কালীপুজো বা ভাইফোঁটায় পরিবারের কাছে ফিরতে চেয়ে যে সব পড়ুয়া বা চাকরিজীবী কলকাতা আসার উড়ানের টিকিট কাটতে যাচ্ছেন, তাঁদের রীতিমত ছেঁকা খাওয়ার মতো অবস্থা হচ্ছে।
মুম্বই থেকে কলকাতা আসার ক্ষেত্রে বছরের অন্যান্য সময় ইকনমি শ্রেণিতে বিমানভাড়া যেখানে ৮০০০ থেকে ১২,০০০ টাকার মধ্যে থাকে, তা-ই আগামী রবিবার পর্যন্ত ১৯,০০০ থেকে ২৩,০০০ টাকার মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। চেন্নাই থেকে কলকাতাগামী উড়ানের ভাড়া ১৬,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। অন্যান্য সময় তা থাকে ৭০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে। বেঙ্গালুরু থেকে টিকিট কাটলে খরচ হচ্ছে ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা। দিল্লি থেকে ইকনমি শ্রেণিতে ভাড়া ১৫,০০০ থেকে ১৮,০০০ টাকা। আর হায়দরাবাদ থেকে কাটলে ১৪,০০০ ১৭,০০০ টাকা। অথচ অন্য সময় ওই সব ভাড়া থাকে ৭০০০ থেকে ৯০০০ টাকার মধ্যে। সব থেকে বেশি ভাড়া বেড়েছে আমদাবাদ থেকে কলকাতাগামী উড়ানের ক্ষেত্রে। প্রায় ১৯,০০০ থেকে ২৩,০০০ টাকার মধ্যে রয়েছে ওই রুটের বিমানের ভাড়া।
যাত্রীদের প্রশ্ন, ডিজিসিএ-র নজরদারি করে তা হলে লাভ কী হল? বিমানের ভাড়া নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তারা স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও দাম এমন আকাশছোঁয়া হল কেন? আর সেটা ঘটার পরেও নিয়ন্ত্রক হাত-পা গুটিয়ে বসে দেখছে কেন? নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন বহু যাত্রী। বিশেষত উৎসব এবং শীতের মরসুমে দেশের ঘরোয়া রুটে ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া এবং স্পাইস জেট যেহেতু প্রায় ১৭০০ অতিরিক্ত উড়ান চালাবে বলে জানিয়েছিল আগেই।
উড়ান সংস্থা সূত্রের খবর, দীপাবলির আগে টিকিটের অস্বাভাবিক চাহিদা রয়েছে। দীপাবলির পরে যা কমে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংস্থাগুলি যে সব যাত্রী আগে থেকে তারিখ জানিয়ে একসঙ্গে আসা এবং যাওয়ার টিকিট বুক করছেন, তাঁদের কিছুটা ছাড় দিচ্ছে। তবে উত্তরবঙ্গের সঙ্কট কেটে যাওয়ার পরে কলকাতা থেকে বাগডোগরাগামী উড়ানের ভাড়া আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে।