আজ ইস্তাহার, কাল
রাহুল-তেজস্বীর সভা
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি, ২৭ অক্টোবর: খনার বচনে ছিল মঙ্গলে ঊষা, বুধে পা, যথা ইচ্ছা তথা যা।
বিহারে বিরোধীদের মহাগঠবন্ধন মঙ্গলবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করতে চলেছে। তার পর বুধবার রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদব একসঙ্গে জনসভা করবেন। প্রথমে মুজফ্ফরপুরের সকরায় কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে, তার পরে দ্বারভাঙ্গায় আরজেডি-র হয়ে রাহুল-তেজস্বীর যৌথ সভা হবে।
রাহুল-তেজস্বীর ভোটার অধিকার যাত্রার পরে আসন বণ্টন নিয়ে বিবাদে আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সেই দূরত্ব মেটাতে কংগ্রেস তেজস্বী যাদবকে বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মেনে নিয়েছে। কিন্তু তার ফলে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, তেজস্বীর সরকার ক্ষমতায় এলে বিহারে লালুপ্রসাদ জমানার ‘জঙ্গলরাজ’ ফিরবে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পটনায় মহাগঠবন্ধনের যে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশিত হবে, তাতে বিজেপির এই ‘জঙ্গলরাজ’ অস্ত্রকেই ভোঁতা করে দেওয়ার চেষ্টা হবে। বিহারের আইন-শৃঙ্খলাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিহার থেকে রাজ্যের বাইরে কাজ করতে যাওয়ার বাধ্যবাধকতাকে রুখতে রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরির কথাও থাকবে।
বিজেপি বিহারে এখন সাধারণ মানুষের মনে ‘জঙ্গলরাজ’-এর প্রত্যাবর্তনের ভয় ঢোকাতে চাইছে। গত ২০ বছর নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন। ফলে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই লালু-জমানা সম্পর্কে অবহিত নন। তাই লালু-জমানার বিভিন্ন খুন-অপহরণের ঘটনা তুলে আনা হচ্ছে। উল্টো দিকে তেজস্বী মহাগঠবন্ধনের ইস্তাহারে নীতীশের নেতৃত্বে এনডিএ জমানার অপরাধের হার তুলে ধরে নীতীশের জমানাকে ‘গুণ্ডারাজ’ বলে তকমা দিতে চাইছেন। সেই সঙ্গে মহাগঠবন্ধন আশ্বাস দেবে, তেজস্বীর সরকার এলে পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা হবে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে থানার ওসি ঠিক হবে। আইন-শৃঙ্খলা মজবুত করা হবে। এর সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মেই নীতীশের ইবিসি বা অতীব অনগ্রসর শ্রেণির ভোটে ভাঙন বসাতে মহাগঠবন্ধন ‘অতি পিছড়া ন্যায় সঙ্কল্পপত্র’ প্রকাশ করতে চলেছে। কারণ বিহারের জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশই ইবিসি-র তালিকাভুক্ত। মহিলা, তরুণ প্রজন্মের ভোটব্যাঙ্ককে পাখির চোখ করেও নানা রকম
উপহার থাকবে।
বিজেপি তথা এনডিএ কবে ইস্তাহার প্রকাশ করবে, তা এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে বিজেপি সূত্রের খবর, দু’তিন দিনের মধ্যেই ইস্তাহার প্রকাশ করা হবে। সেখানে ভবিষ্যতের বিহারের স্বপ্ন দেখানো হবে। বিহারে নতুন কারখানা, লগ্নি ও কর্মসংস্থান তৈরির রূপরেখার উপরে নজর থাকবে এনডিএ-র ইস্তাহারে।